কালিগঞ্জে চামড়ার দাম কম, আবার পাচারের ঝুকি!

মোঃ ইশারাত আলী :
কালিগঞ্জে চামড়ার দাম কম, আবার পাচারের ঝুকি! এমন শঙ্কার মধ্যে চামড়া বেচাকেনা চলছে। শ্রীকলা মহিলা দাখিল মাদ্রাসায় আজ (৭জুন) শনিবার সরেজমিন দেখা গেছে, বিক্রেতারা সরকার নির্ধারিত দরে দাম পাচ্ছেনা। ক্রেতারা বলছেন, সরকার নির্ধারিত দামে কিনে বিক্রি করলে ঐদাম পাব কিনা জানিনা। একারনে আমরা চামড়া কেনার সময় দর কষাকষি করে নেওয়ার চেষ্টা করছি। স্থানীয়ভাবে বড় গরুর কাঁচা চামড়া ৭০০ থেকে ১ হাজার ১০০ টাকা এবং ছোট গরুর চামড়া ৪০০ থেকে ৭০০ টাকার মধ্যে বিক্রি হচ্ছে। তারপরেও কম দামে বেচাকেনার মধ্যে থাকছে পাচারের ঝুকি।
তবে এবার ঈদে অধিকাংশ চামড়া স্থানীয় মাদ্রাসা ও এতিমখানা সংগ্রহ করার চেষ্টা করেছে। তারা প্রাথমিক ভাবে চামড়ায় লবন দিয়ে সংরক্ষণ করছে পরে সুবিধামত সময় চামড়া বিক্রি করবে বলে জানাগেছে। এক্ষেত্রে তারা আগে থেকে চামড়া সংরক্ষনের জন্য লবন কিনে রেখেছে। এর পাশাপাশি সরকারীভাবে ফ্রি লবন ফ্রি পেয়েছে।
কালিগঞ্জে মাদ্রাসার মোড়ে দেখা গেছে, কয়েকজন স্থানীয় ব্যবসায়ী রাস্তায় বসে চামড়া সংগ্রহ করছেন। তারা বলছেন প্রতিটি চামড়া ৫০০ টাকা থেকে ১ হাজার ১০০ টাকার মধ্যে কিনছি। লবণ, শ্রমিকসহ অন্যান্য খরচ মিলে প্রতিটি চামড়ায় অতিরিক্ত ২০০ থেকে ৩০০ টাকা খরচ হচ্ছে।
এবার কোরবানী করেছেন দক্ষিণ শ্রীপুর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি রেজওয়ান আহম্মেদ। তিনি বলেন, ‘সরকার নির্ধারিত চামমড়ার দাম পাচ্ছিনা। তবে চামড়া যাতে নষ্ট না হয় সে ব্যাপারে আমরা সতর্ক। সঠিকভাবে যাতে সংরক্ষণ হয় বা কেনাবেচা হয় সে দিকে আমরা খেয়াল রাখছি। সাথে সাথে পাচার হয়ে যাতে ভারতে না যায় সে ব্যাপারেও আমরা খেয়াল রাখছি।
এবার কোরবানীর ঈদে ঢাকায় প্রতি বর্গফুট লবণযুক্ত গরুর চামড়ার দাম ৬০ থেকে ৬৫ টাকা এবং ঢাকার বাইরে ৫৫ থেকে ৬০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
ঢাকায় সর্বনিম্ন কাঁচা চামড়ার দাম ১ হাজার ৩৫০ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর ঢাকার বাইরে সর্বনিম্ন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১ হাজার ১৫০ টাকা।
এ ছাড়া খাসির চামড়ার ক্রয়মূল্য প্রতি বর্গফুট ২২ থেকে ২৭ টাকা এবং বকরির চামড়ার দাম ২০ থেকে ২২ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।