1. satnews24@satkhiranews24.com : sat24admin :
ঢাকা ০৫:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ

এক নায়িকাও আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন : বাঁধন

প্রতিনিধির নাম
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। নেমেছিলেন রাজপথ। সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যম অভিনেত্রীকে ভারতীয় গয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে দাবি তুলেছেন অনেকেই। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

রোববার নিজের ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে হতাশা প্রকাশ করে তিনি লিখেছে, “আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম-কী দারুণ এক যাত্রা!”

তিনি লিখেছেন, “২০২১ সালে আমি একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট ছিলাম। তবে সেটা বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউড ছবি ‘খুফিয়া’-তে। ওই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু। যারা দেখেননি দেখে ফেলেন! ওটিটি ফ্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আছে।”

বাঁধন আরও লিখেছেন, “ওই সিনেমায় অভিনয়ের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আমি ‘খুফিয়া’ ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত যেতে পারিনি। কারণ, ভারতীয় হাই কমিশন আমার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল-একবার নয়, পাঁচবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুর (নুরুল হক নুর) সঙ্গে আমার একটা ছবি দেখে ভারতীয় হাই কমিশন খুব চিন্তিত ছিল। ছবিটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। শেষমেশ, ভিসার জন্য দেশের পরিচিত প্রভাবশালী মানুষদের সাহায্য নিতে হয়। হাই প্রোফাইল কিছু লোকজনের হাসাহাসির মাঝেই এক মাসের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পাই।”

তিনি যোগ করেন, “দুইজন প্রভাবশালী সূত্র থেকে জেনেছি, সিনেমার অন্যতম একজন নায়িকাও আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন। সে ব্যক্তি কে ছিল তা অনুমান করা যেতে পারে! ভিসা জটিলতার কারণে টালিউড এবং বলিউডে অনেক ভালো কাজের সুযোগ হারিয়ে ফেলি। তবে থেমে থাকিনি।”

বাঁধন আরও বলেন, “জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব’ চালিয়েছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কারণ, আমি তাদের এক নেতার ভিডিও আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম।”

সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের হয়েও কাজ করছি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম! বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন আমার কাছে সিরিয়াসভাবে জিজ্ঞেস করে বসল, “টাকা খাইছো নাকি?” আমাদের কী দারুণ একটা সমাজ! যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না। এই লেখাটা আসলে মজা করে বলা আরাম কর, হাস, আর একটু ভাব।”

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :
  • আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫ ১৬৭ বার পড়া হয়েছে
    • How Is My Site?

      View Results

      Loading ... Loading ...
  • পুরনো ফলাফল
    Logo
    শনিবার, ২১ জুন ২০২৫, ৬ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
    ফজরসময়
    জোহরসময়
    আসরসময়
    মাগরিবসময়
    ইশাসময়
    সূর্যোদয় :সময়সূর্যাস্ত :সময়

    এক নায়িকাও আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন : বাঁধন

    আপডেট সময় : ০৭:৫৪:৪২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৫ মে ২০২৫

    ছাত্র আন্দোলনের শুরু থেকেই সরব ছিলেন অভিনেত্রী আজমেরী হক বাঁধন। নেমেছিলেন রাজপথ। সম্প্রতি সামাজিকমাধ্যম অভিনেত্রীকে ভারতীয় গয়েন্দা সংস্থা ‘র’-এর এজেন্ট বলে দাবি তুলেছেন অনেকেই। এরপরই বিষয়টি নিয়ে কথা বলেছেন এই অভিনেত্রী।

    রোববার নিজের ফেসবুক দেওয়া এক পোস্টে হতাশা প্রকাশ করে তিনি লিখেছে, “আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম-কী দারুণ এক যাত্রা!”

    তিনি লিখেছেন, “২০২১ সালে আমি একজন গর্বিত ‘র’ এজেন্ট ছিলাম। তবে সেটা বিশাল ভরদ্বাজ পরিচালিত বলিউড ছবি ‘খুফিয়া’-তে। ওই সিনেমায় আমার সহশিল্পী ছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী টাবু। যারা দেখেননি দেখে ফেলেন! ওটিটি ফ্লাটফর্ম নেটফ্লিক্সে আছে।”

    বাঁধন আরও লিখেছেন, “ওই সিনেমায় অভিনয়ের পর ঘটনা নতুন মোড় নেয়। আমি ‘খুফিয়া’ ছবির প্রিমিয়ারে পর্যন্ত যেতে পারিনি। কারণ, ভারতীয় হাই কমিশন আমার ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছিল-একবার নয়, পাঁচবার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিপি নুর (নুরুল হক নুর) সঙ্গে আমার একটা ছবি দেখে ভারতীয় হাই কমিশন খুব চিন্তিত ছিল। ছবিটি আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছিলাম। শেষমেশ, ভিসার জন্য দেশের পরিচিত প্রভাবশালী মানুষদের সাহায্য নিতে হয়। হাই প্রোফাইল কিছু লোকজনের হাসাহাসির মাঝেই এক মাসের সিঙ্গেল-এন্ট্রি ভিসা পাই।”

    তিনি যোগ করেন, “দুইজন প্রভাবশালী সূত্র থেকে জেনেছি, সিনেমার অন্যতম একজন নায়িকাও আমার ভিসা জটিলতায় জড়িত ছিলেন। সে ব্যক্তি কে ছিল তা অনুমান করা যেতে পারে! ভিসা জটিলতার কারণে টালিউড এবং বলিউডে অনেক ভালো কাজের সুযোগ হারিয়ে ফেলি। তবে থেমে থাকিনি।”

    বাঁধন আরও বলেন, “জুলাই মাসের আন্দোলনের সময় আমাকে বলা হলো সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সি (সিআইএ)-এর এজেন্ট। আমি নাকি ইউএসএআইডি থেকে টাকা নিয়ে ‘ঐতিহাসিক বিপ্লব’ চালিয়েছি। তারপর হলাম জামায়াতের এজেন্ট। কারণ, আমি তাদের এক নেতার ভিডিও আমার পেজে শেয়ার করেছিলাম।”

    সবশেষে অভিনেত্রী লিখেছেন, “আমার এক বন্ধু বলল, আমি নাকি মোসাদের হয়েও কাজ করছি। আর গতকাল রাতে আবারও ‘র’ এজেন্ট হয়ে গেলাম! বর্তমান সরকারের ঘনিষ্ঠ একজন আমার কাছে সিরিয়াসভাবে জিজ্ঞেস করে বসল, “টাকা খাইছো নাকি?” আমাদের কী দারুণ একটা সমাজ! যে ব্যক্তি দেশকে ভালোবাসে না, সে ভাবে আর কেউ দেশকে ভালোবাসতে পারে না। এই লেখাটা আসলে মজা করে বলা আরাম কর, হাস, আর একটু ভাব।”