February 5, 2025, 3:01 pm
মোঃ ইশারাত আলী:
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে স্বামী-স্ত্রীর বিরোধকে কেন্দ্র করে দুই শিশু মাহির আবরার (৬) আরিয়ান আবরার (৯মাস) সন্তানকে বিষ খাওয়ায়ে হত্যার পর নিজের আত্মহত্যার একটি ঘটনা ঘটে। গত ২৯ জানুয়ারী বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে উপজেলার পূর্ব কালিকাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। একই সাথে হত্যাকারী মা আঞ্জুয়ারা রত্না (২৬) নিজেও বিষপান করে এবং পরে গলায় রশি দিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করে।
কালিগঞ্জ থানায় মামলা সুত্রে জানা গেছে যে, আঞ্জুয়ারা রতœার শ্বশুর মোঃ আব্দুল আজিজ বাড়ীতে কোন সাড়াশব্দ না পেয়ে তাদের ডাকাডাকির এক পর্যায় বুঝতে পারেন যে, ঘরের মধ্যে কোন ঘটনা ঘটেছে। এরপর তাদের ডাকাডাকি করে কিন্তু কোন সাড়া না পেলে নিজে ঘরের বাথরুমের দরজা ভেঙ্গে দেখেন যে, তার দুই পোতা মাহির আবরার ও আরিয়ান আবরার অজ্ঞান হয়ে ঘরে খাটের উপর পড়ে আছে এবং ছেলের বউ গোংরাচ্ছে।
এসময় আব্দুল আজিজ তোর বৌমার কাছে জানতে পারেন যে, তার দুই সন্তানকে বিষ খাওয়ায়ে নিজে বিষ পান করেছেন। তখন তিনি সবার ডাকাডাকি করে এবং তাদের উদ্ধার করে পাশের উপজেলা শ্যামনগর হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তার পরীক্ষা নিরিক্ষার পর মাহির আবরার ও আরিয়ান আবরারকে মৃত ঘোষনা করেন। কিন্তু ঘটনা ক্রমে মা আঞ্জুয়ারা রতœা বেঁচে যান। পরে ডাক্তার তাকে উন্নততর চিকিৎসার জন্য সাতক্ষীরা মেডিকেলে পাঠায়।
পরে দুই শিশু মাহির আবরার ও আরিয়ান আবরারের লাশ সুরতহাল রিপোর্ট এবং ময়না তদন্ত শেষে তাদের দাফন করে।
ঢাকার ডাক পত্রিকার পাঠকরা জানতে চান আঞ্জয়ারা রত্না বর্তমানে বেঁচে আছে কিনা? বেঁচে থাকলে কোথায় আছে? তার স্বামী মহমুদুল হাসানের বক্তব্য কি? কোন মামলা হলো কিনা? খবরের অন্তরালের খবর কি? এসব বিষয় গুলো জানার জন্য আমরা বিভিন্ন সুত্রে কথা বলেছি। ইতিমধ্যে আমরা সর্বোশেষ একটি সুত্রে জানতে পেরেছি যে, দুই শিশু সন্তানের হত্যাকারী মা আঞ্জুয়ারা রত্না বেঁচে আছে এবং পুলিশ হেফাজতে হাসপাতালে আছে এবং বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালিকাপুর গ্রামের ইউপি সদস্য মোঃ ইউছুফ আলী।
এদিকে চাঞ্চল্যকর এই মামলাটি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার জন্য বিভিন্ন রকমের গুজব ছড়িয়ে বেড়াচ্ছে একটি মহল। তবে ঘটনা যাই ঘটুক দুটি হত্যার সাথে একটি আত্মহত্যার চেষ্টা যা খাটো করে দেখার উপায় নেই। একটি সুত্র বলছে তার স্বামীর পরোকীয়ার জেরে নাকি এমন ঘটনা ঘটেছে। আরেকটি সুত্র বলেছে যে, আঞ্জুয়ারা রত্নার শরীরে প্রতিমাসে রক্ত দিতে হতো। তার মানষিক অবস্থা ভাল ছিলনা। যেকারনে সে এমন কান্ড ঘটিয়েছে। তবে সবার প্রত্যাশা ঘটনার অন্তরালের ঘটনা যেন বেরিয়ে আসে।
অবশ্য ইতিমধ্যে দুই সন্তানকে হত্যা পরে মায়ের আত্মহত্যার চেষ্টার বিপরীতে কালিগঞ্জ থানায় মামলা হয়েছে। মামলা নম্বর ১৮/১৮। মামলাটি কালিগঞ্জ থানার সাব-ইন্সপেক্টর প্রদীপ রায় তদন্ত করছেন।
Leave a Reply