মোঃ ইশারাত আলী :

সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে ডিজেল ও পেট্রোল সংকটের একটি চক্রান্ত চলছে। আজ সকাল থেকে ইউনিয়ন ভিত্তিক ডিলারদের কাছে তৈল কিনতে গেলে এমন একটি কথা তাদের মুখে শোনা যায়। তারা বলছে আগামী কাল বিষয়টি আরও খোলসা হবে।

এর প্রেক্ষিত কালিগঞ্জের একটি গ্রুপ আগে ভাগে পেট্রোল ও ডিজেল ১০ /২০ লিটারের পাত্রে অন্যত্র সরিয়ে রাখছে। সংকট হলে তারা যেন বেশী দামে বিক্রি করতে পারে এই লক্ষে। বিষয়টি একটি চক্রান্ত কিনা তা প্রশাসনকে ক্ষতিয়ে দেখার অনুরোধ করেছে অনেক কৃষক।

ইতিমধ্যে কালিগঞ্জের অনেক স্পটে তেলের ডিলারদের কাছ থেকে বাস, ট্রাক, ট্রলি, টেম্পু তেল নিচ্ছে। একারনে কৃষকদের শ্যালো মেশিন বন্ধের সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।

উপজেলার গোবিন্দপুর গ্রামের একধান চাষীর সাথে আজ সন্ধ্যায় কথা হলে তিনি বলেন এখন ধান চাষের ভরা মৌসুম। এখন যদি তেলের সংকট তৈরী হয় তবে স্যালো মেশিনে পানি উঠবেনা। ক্ষেত শুকিয়ে বা লোনা লেগে ধান গাছ মারা যাবে।

অবশ্য অনেক গণমাধ্যমে প্রচারিত খবরে জানাগেছে খুলনা বিভাগীয় ট্যাংকলরি শ্রমিক ইউনিয়নের সাধারণ সম্পাদক আলী আজিমের মুক্তির দাবিতে অনির্দিষ্টকালের ধর্মঘট দ্বিতীয় দিন আজ। ধর্মঘটের কারণে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বৃহত্তর ফরিদপুরের ছয় জেলাসহ ১৬ জেলায় জ্বালানি তেল উত্তোলন ও পরিবহন বন্ধ রয়েছে। এতে এসব জেলার পেট্রোল পাম্পে জ্বালানি তেলের সংকট সৃষ্টি হতে শুরু করেছে।

যার ফলশ্রুতিতে আজ তেল নিতে গেলে কালিগঞ্জের একাধিক পাম্পের সামনে পাম্প বন্ধ সাইনবোর্ড দেখা গেছে।