বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৭ অপরাহ্ন
মোঃ ইশারাত আলী :
করোনা ভাইরাসে গত ২৪ ঘন্টায় বাংলাদেশে আরও ৮৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। আক্রান্ত হয়েছে ৭,২০১জনের। গত বছর ১০ এপ্রিল সর্বোচ্চ রেকর্ড পরিমান ৭৭ জনের মৃত্যু হয়ে ছিলো। গতকাল ১১ এপ্রিল সে রেকর্ড ভেঙ্গে ৭৮ জনের মৃত্যুর নতুন রেকর্ড তৈরী হয়েছে। আজ ৮৩ জনের মৃত্যূ যেন হতবাক করে দিয়েছে।
দৃশ্যত গত সপ্তাহের লক ডাউন ভেঙ্গে পড়ার পরে করোনা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা । সেক্ষেত্রে আগামী ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর লকডাউনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার।
লকডাউনের ফাঁদে দেশ আটকে যাওয়ার আগে শহর ছেড়ে হাজার হাজার মানুষ সাতক্ষীরার ভিন্ন ভিন্ন উপজেলায় ফিরছে।। সে কারনে ইতিমধ্যে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক তৈরী হয়েছে। প্রতিটি মানুষের একটিই প্রশ্ন তাহলে শহর থেকে যারা আসছে তারা কি করোনা ভাইরাস নিয়ে আসছে?
একটি পরিসংখ্যানে দেখা গেছে দেশে এখন টেস্ট অনুপাতে শনাক্তের হার ২২.০২ ভাগ৷ মৃত্যুর হার শতকরা ১.৪৩ ভাগ৷ গত একমাসে এক লাখেরও বেশি আক্রান্ত হয়েছে৷ এখন প্রতিদিন গড়ে ৬০ জনের বেশি মারা যাচ্ছে৷ প্রতিদিন গড়ে সাত হাজারের বেশি আক্রান্ত হচ্ছে৷
দেশে আক্রান্তের হার ২০ শতাংশ ছাড়িয়ে যাওয়ার কারনে সারা সাতক্ষীরা জুড়ে প্রায় ৩লক্ষ শ্রমিক যার মধ্যে ভাটা শ্রমিক, মটর শ্রমিক, গামেন্টস কর্মী, চাকুরী জীবি ঘরে ফেরার মধ্যে আছে। পরিসংখ্যন অনুযায়ী ঘরে ফেরা মানুষের মধ্যে অধিকাংশ করোনা ভাইরাস নিয়ে গ্রামে ফিরছে। একারনে সাতক্ষীরার প্রত্যান্ত অঞ্চলের প্রতিটি মানুষের এখন বাঁচা মরার প্রশ্ন সামনে এসে দাড়িয়েছে।
গত বছর মার্চ মাসে সরকারী বেসরকারী তরফে সবাই মিলে লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন যেভাবে করা হয়েছিল এবার তার কিছুই চোখে পড়ছেনা। বরঞ্চ দুই তিন দিনের মধ্যে হাজার হাজার মানুষ করোনা ভাইরাস নিয়ে গ্রামে ঢুকে পড়ছে।
লকডাউন, কোয়ারেন্টাইন, হোম কোয়ারেন্টাইন, প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইন, আইসোলেশন যদি এই মুহুর্তে শুরু না হয় তবে নিশ্চিত বলা চলে সাতক্ষীরার প্রত্যান্ত অঞ্চল এই মুহুর্তে করোনায় আক্রান্ত।
Leave a Reply