সাতক্ষীরা প্রতিনিধি :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জের বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাবেক শিবির নেতা, সংখ্যালঘুদের জমি দখলে সহযোগি, দুর্নীতিবাজ শেখ রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এক আ’লীগ নেতা। সোমবার দুপুুরে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে বিষ্ণপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাবেক আইন বিষয়ক সম্পাদক ইউনুচ আলী
মোড়ল এই দাবি জানান। লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীনের বাবা কালিগঞ্জের নীলকন্ঠপুর গ্রামের মৃত শেখ নবীর আলী ছিলেন ভারতীয় নাগরিক। দুর্নীতির অপরাধে সাজার ভয়ে ১৯৬৮-৬৯ সালে বিনময় করে এদেশে আসেন। ছাত্রজীবনে শেখ রিয়াজ উদ্দীন শিবিরের রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। পরে জাসদ ও বাসদ হয়ে ১৯৯৫ সালে সিঙ্গাপুর থাকা অবস্থায় আ’লীগের সাথে যুক্ত হন। কিন্তু গোপনে তিনি আওয়ামী বিরোধী কার্যক্রমের মাধ্যমে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করে যাচ্ছেন। ইউনুচ আলী আরো বলেন, বিগত ২০১৬ সালে আ’লীগের মনোনয়ন নিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে সংখ্যালঘু ও আ’লীগ কর্মী নির্যাতন এবং খুনের সাথে জড়িত জামায়াত, শিবির ও বিএনপি কর্মীদের নিয়ে রিয়াজলীগ গঠন করেছেন। তিনি দুঃস্থদের ভাতা কার্ড ও গৃহ নির্মাণ বাবাদ অর্থ দেয়ার নামে অসহায় মানুষের কাছ থেকে বিভিন্ন বাহিনীর মাধ্যমে টাকা গ্রহণ করেছেন। শেখ রিয়াজ উদ্দীন ও শেখ ছিদ্দিকুর রহমানের দ্বারা লাঞ্চিত হয়ে এলাকার সংখ্যালঘু নীলকমল ও তার স্ত্রী ভয়ে বাড়ি ঘর বিক্রি করে দেশ ছাড়তে বাধ্য হয়েছে। চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন বিদ্যুৎ সংযোগ দেয়ার নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এবষিয়ে বিষ্ণুপুর গ্রামের সমীর কুমার মন্ডল দুদকে অভিযোগ করেছেন। পর সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে তাকে মারপিট করে এবং এক
মামলার আসামিকে দিয়ে তার ঘের দখল করে দেয়। একই সাথে সমীর মন্ডলের নামে
আদালতে মিথ্যে মামলা করায়। তিনি অভিযোগ করে বলেন, শেখ রিয়াজ উদ্দীন আ’লীগের দলীয় প্রতীকে চেয়ারম্যান নির্বাচন হয়ে সংখ্যালঘুদের জমি ও ঘের দখল করা সহ তাদরে উপর বিভিন্ন ভাবে অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে তিনি সঞ্জয় সরদারের জমি জবর দখল নিয়ে জামায়াত নেতা আবু আসলাম (লাল্টু) গংদের পক্ষে দেয়ার চেষ্টা করছেন। চেয়াম্যান ও তার বাহিনীর অত্যাচারে অনেকে ইতিমধ্যে দেশ ত্যাগে বাধ্য হয়েছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে সঞ্জয়ের সাথে আরো অনেক হিন্দু দেশ থ্যাগে বাধ্য হবে। এছাড়া চেয়াম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীন তার পরিষদের মেম্বর শেখ ছিদ্দিকুর রহমান, শংকর কুমার দত্ত ও আবু হানিফের মাধ্যমে সরকারের উন্নয়ন প্রকল্পের কাজ না করে সমুদয় অর্থ আত্মসাৎ করেছেন। তার বিরুদ্ধে
ভাতা কার্ড, গৃহ প্রদান ও উন্নয়ন প্রকল্পের দুর্নীতির বিরুদ্ধে বিভিন্ন দপ্তরে একাধিক অভিযোগ দেয়া হয়েছে। যা তদন্ত করলে প্রমানিত হবে। দুদক তার বিরুদ্ধে তদন্তকালে তার ও তার স্ত্রীর নামে বিভিন্ন ব্যংকে কোটি টাকার সন্ধান পায়। তিনি তদন্তপূর্বক সংখ্যালঘুদের জমি দখলকারি ও দুর্নীতিবাজ বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ রিয়াজ উদ্দীনের বিরুদ্ধেতার সাংগঠনিক ও প্রশাসনিক ব্যবস্থা গ্রহণে প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Leave a Reply