শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৫১ অপরাহ্ন
কালিগঞ্জ উপজেলার কার্পেটিং সড়কগুলো এখন মরনফাঁদে পরিণত হয়েছে। একটু বৃষ্টি হলেই কাঁদাপানিতে বহু কষ্ট করে শিক্ষার্থীসহ যাত্রীসাধারণের চলাচল করতে হচ্ছে।জনস্বার্থে এ দুর্দশা দেখবে কে এমন প্রশ্ন ভুক্তভোগীদের। সরেজমিনে দেখাগেছে, উপজেলার নাজিমগঞ্জ টু বসন্তপুর ওয়াপদা কার্পেটিং সড়কে বালু পরিবহণকারী অবৈধ আত্মঘাতী ড্রাম্পারসহ ভারী যানবহন ১৫ টনের অধিক বালি বোঝাই ট্রাক প্রতিদিন চলাচল করছে। প্রশাসনকে বৃদ্ধঙ্গুলী দেখিয়ে সড়কের ধারণক্ষমতার চেয়ে দ্বিগুন ভারী ট্রাক ও ড্যাম্পার চলাচল করছে। ফলে বর্ষায় বিজিবি ক্যাম্প সংলগ্ন স্হানসহ বেশ কয়েকটি স্হানে নষ্ট হওয়ায় সড়কের উপর প্রচুর কাঁদা ও বেহাল অবস্থায় দুর্ভোগে পড়েছেন কোমলমতি শিক্ষার্থী ও পথচারীরা। সোমবার (২৯ জুলাই) সকালে চরম ভোগান্তির শিকার হয় স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা। সম্প্রতি বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে এলাকাবাসী (১৪/৩/১৯) বৃহস্পতিবার কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সরদার মোস্তফা শাহিন ও উপজেলা প্রকৌশলীর কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিল। উপজেলার বসন্তপুর ও শীতলপুর গ্রামের মুক্তিযোদ্ধা, স্কুল কলেজের শিক্ষার্থী ও ব্যবসায়িসহ অর্ধশতাধিক এলাকাবাসী স্বাক্ষরিত অভিযোগ দিলেও আজ পর্যন্ত প্রশাসন কোন পদক্ষেপ না নেওয়ায় হতাশ সচেতন মহল। এমনিভাবে কালিগঞ্জ কলেজ মোড় থেকে কুশুলিয়া হয়ে বালিয়াডাঙ্গা সড়কের ঠেকরা হাজী মোড় সংলগ্ন থেকে জিরণগাছা বাজার পর্যান্ত কার্পেটিং সড়কটি বেহালদশায় পরিণত হয়েছে। সম্পুর্ণ ব্যাক্তি স্বার্থ হাছিল করতে গিয়ে ব্যাপক জনগুরুত্বপুর্ণ সড়কটি নষ্ট করে ফেলেছে কতিপয় ভাটার মালিক। কার্পেটিং সড়কে মাটি ফেলে করে ফেলেছে মাটির রাস্তা। কিছু স্বার্থান্বেষী মহল তাদের ব্যাক্তি সার্থ হাছিলের কারণে জনগুরুত্বপুর্ণ সড়কগুলোর আজ এহাল অবস্থা করেছে। প্রতিনিয়ত জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাঁদা পানি যুক্ত কার্পেটিং সড়ক দিয়ে শিক্ষার্থীরা এভাবেই চলাচল করছে। বিষয়টির দ্রুত সমাধানের জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) মহাদ্বয়ের দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন শিক্ষার্থীরা।
Leave a Reply