February 5, 2025, 8:46 am
মোঃ ইশারাত আলী :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জে আদী যমুনা নদীর বাঁধে ভাঙ্গন হলেও সংস্কারের দায় নিচ্ছেনা কোন দপ্তর। বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাস বলছেন যে, ৫ নম্বর ফোল্ডার আমাদের অধিনে হলেও নদীর বাঁধ সংস্কর করার কোন পরিকল্পনা বা বাজেট আমাদের নেই। আমাদের করারও কিছু নেই।
আবার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ বলছেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড যদি রাস্তা করে দেয় তবে আমরা পিচ করে দেব। উপজেলা প্রকৌশলী ফয়সাল বারী ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাসের উপর জনসাধারণের বিশ্বাস নেই। দীর্ঘদিন ধরে তাদের ঠেলাঠেলিতে যমুনার জল গড়িয়েছে অনেক দুর। জনগণের রাস্তা ভেঙ্গে যাচ্ছে। অথচ দুই দপ্তরের ঠেলাঠেলিতে জনসাধারণের বিরক্তি ধরেছে।
ইতিমধ্যে পাউখালী হয়ে আদী যমুনা নদীর ধার দিয়ে নাজিমগঞ্জ যাওয়ার রাস্তাটির মাঝপথে বেহাল অবস্থায় চলাচলে জনসাধারণ দুর্ভোগে পড়েছে। দৃশ্যত দুই হাজর ফুটের কাছাকাছি রাস্তা ভেঙ্গে নদী গর্ভে চলে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে নাজিমগঞ্জ বাজার, কালিগঞ্জ থানা সহ উপজেলা পরিষদে যাওয়ার এই রাস্তাটি চলাচলে অনুপোযোগী হয়ে পড়ার উপক্রম হয়ে পড়ছে। নদীর কোল ঘেষে ধ্বস নেমেছে। বর্ষা নামলে বা আরও ধ্বসের পানি লোকালয়ে প্রবেশ করলে বাজারগ্রাম ও বাজারগ্রাম রহিমপুর প্লাবিত হবে। কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হবে।
স্থানীয় মেম্বর খায়রুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রশাসনের দ্বারে দারে ঘুরছি। কেউ কারো দায় নেয়না। একজনের ঠেলা আরেকজনের উপরে দেয়। ঠেলাঠেলির কারনে লোকালয়ে যদি পানি ঢোকে তবে তার দায়ভার প্রশাসনকে নিতে হবে।
বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী শুভেন্দু বিশ্বাস বাঁধ সংস্কর করবে না আবার কালিগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী কাজী ফয়সাল বারী পূর্ণ রাস্তা করতে পারবেনা। দীর্ঘদিন ধরে দুই দপ্তরের এমন ঠেলাঠেলিতে আদী যমুনা নদীর পানি লোকালয়ে ঢোকার আগে কি করেনীয়? জানতে চাইলে কালিগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অনুজা মন্ডল বলেন যে, গত তিনটি মিটিংয়ে আমি বিষয়টি উপস্থাপন করেছি। কোন দপ্তর তাদের দায় নিচ্ছে নাা। আবার এটাও সত্য যে, আমাদের হাতে এত বড় বাজেটও নেই। একারনে করতে পারছিনা। তার পরেও কিভাবে আদী যমুনা নদীর বাঁধ সংস্কর করা যায় আমরা তা চেষ্টা করছি। আশা করছি আমরা দ্রুত একটি সমাধান বের করতে পারবো।##
Leave a Reply