কালিগঞ্জে হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতাল” এর বিরুদ্ধে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ

১৯ অক্টোবর ২০২৫ রোজ রবিবার সাতক্ষীরা থেকে প্রকাশিত বর্তমান সাতক্ষীরা, সাতক্ষীরার তথ্য ও যশোর থেকে প্রকাশিত যশোর বার্তা পত্রিকার প্রথম পাতায় “কালিগঞ্জে হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতাল” এর বিরুদ্ধে ভূয়া রিপোর্ট প্রদান ও চিকিৎসা প্রতারণার অভিযোগ, তদন্ত শুরু” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছে।
সংবাদে আমাকে ও আমাদের প্রতিষ্ঠানকে সামাজিক ও প্রফেশনাল ক্যারিয়ার হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য একটি মহল প্রতিবেদককে মিথ্যা ও ভিত্তিহিন তথ্য দিয়ে সংবাদটি প্রকাশ করে। প্রকৃত সত্য হল কালিগঞ্জ উপজেলার হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতাল এর আমি পরিচালক। গড়ুই মহল গ্রামের মোঃ ফজলুর রহমান ৩০ জুন ২০২৫ এপেন্ডিসক অপারেশন হয়। অপারেশনের আগে পরীক্ষা নিরিক্ষা করেন ডাঃ শেখ মাসুদুর রহমান এবং অপারেশন করেন ডাঃ শেখ আকছেদুর রহমান। সকল নিয়ম মেনে রোগী সুস্থ হয়ে ৫দিন পরে বাড়ী চলে যায়।
বাড়ী যাওয়ার আড়াইমাস পর ভুক্তভোগী মোঃ ফজলুর রহমান পায়ে কম শক্তি পাচ্ছে এরকম একটি বিষয় আমাকে জানায়। এরপরে আমি তাকে আমাদের নিয়মিত ডিউটি ডাক্তার আফসানা মমতাজকে দেখাই। পর্যায় ক্রমে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজের সহকারী অধ্যাপক গাজী আব্দুস সাদিক অপু দেখেন। পরবর্তীতে রোগী নিজে খুলনা মেডিকেল হাসপাতালের ব্রেন ও স্পাইন সার্জারী বিভাগের ডাক্তার হাসানুজ্জামানের কাছে চিকিৎসা নেন। পরে আবারও তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজের সাবেক অধ্যাপক (বিভাগীয় প্রধান মেডিসিন) ডাক্তার এ এইচ এ এম নাজমুল আহসান এর কাছে চিকিৎসা নেন। কোন ডাক্তার ভুক্তভোগী রোগী মোঃ ফজলুর রহমান এর এ্যাপেন্ডিকস সংশ্লিষ্ট কোন সমস্যা খুজে পাননি। তার পরেও তিনি বৈদ্য, কবিরাজ, হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসক দেখিয়েছেন। তাছাড়া তিনি জরায়ু সংক্রান্ত যে রিপোর্ট টির কথা বলছেন ঐ রিপোর্টটি কথা বলছেন ঐ রিপোর্টটি কে বা কারা বানোয়াট প্রিন্ট করেছে। রোগীর আনিত এই অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহিন। আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ উদ্দেশ্য প্রনোদিত ও মানহানিকর।
চার মাস আগে রোগী অপারেশন শেষে সুস্থ হয়ে খুশি মনে বাড়ী ফিরে গেছে। ভিডিও ক্লিপ স্যোলাল মিডিয়ায় বিদ্যমান। যেখানে আমার বক্তব্য নেওয়া হয়নি। পত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।
মোঃ সিরাজুল ইসলাম
পরিচালক
কালিগঞ্জে হযরত আলী ডিজিটাল ল্যাব এন্ড হাসপাতাল
কালিগঞ্জ, সাতক্ষীরা।