নিজেস্ব প্রতিবেদক :
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলার ভাড়াশিমলা গ্রামে কোবলা সূত্রে পাওয়া সম্পত্তি জবরদখল ও সীমানা প্রাচীর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উপজেলার ৮নং ভাড়াশিমলা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী মোঃ রফিকুল ইসলাম একাধিক দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করলেও এখন পর্যন্ত কোনো প্রতিকার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন। বিষয়টি সরেজমিনে জানাগেছে।
ভুক্তভোগী রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি মৃত জালাল উদ্দিন সরদারের বড় ছেলে এবং ভাড়াশিমলা মৌজার ৫৭৯ খতিয়ান, সাবেক ৬৩৮ ও হাল ৭৩৬ দাগে সাড়ে ১৩ শতক জমির মালিক। মাঠ পর্চা অনুযায়ী তার নামে ৯৭২ খতিয়ানে রেকর্ডও রয়েছে।
অভিযোগে বলা হয়েছে, স্থানীয় বিবাদীরা — মৃত আবেদ আলী মল্লিকের ছেলে শোকর আলী মল্লিক (৫৫), তার স্ত্রী হাসিনা খাতুন (৪৫), ছেলে হাফিজুর মল্লিক (৩২), মেয়ে সুরাইয়া খাতুন (২৮) সহ আরও কয়েকজন দীর্ঘদিন ধরে ওই জমি দখলের চেষ্টা চালিয়ে আসছেন। স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে শালিশ বৈঠকেও সমাধানের চেষ্টা করা হলেও তা মানেননি শোকর আলী ও তার সহযোগীরা।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, সম্প্রতি বিবাদীরা জোরপূর্বক প্রাচীর ভেঙে প্রায় ৫ হাজার ইট লুটপাট করে নতুন প্রাচীর নির্মাণ করে জমি দখল করে নেয়। এ সময় তারা রফিকুল ইসলামের গাছপালা কেটে নেয়, যার আনুমানিক মূল্য প্রায় এক লক্ষ টাকা। বাধা দিতে গেলে বিবাদীরা ধারালো অস্ত্র, লাঠি ও হাতুড়ি নিয়ে হামলার চেষ্টা করে। ফলে প্রাণভয়ে রফিকুল ইসলাম ও তার পরিবার স্থান ত্যাগ করতে বাধ্য হন।
রফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ৭ সেপ্টেম্বর অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কালিগঞ্জ, ৯ সেপ্টেম্বর পাউখালী সেনা ক্যাম্পের ক্যাম্প ইনচার্জ, ১৪ সেপ্টেম্বর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান, এবং পরবর্তীতে ১ অক্টোবর ও ১৭ অক্টোবর ২০২৫ পুনরায় থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। তবে এখন পর্যন্ত কোনো আইনগত পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে তিনি দাবি করেন।
বিষয়টি সম্পর্কে শোকর আলী মল্লিকের কাছে জানতে গেলে তিনি ক্যামেরার সামনে আসেননি। এ বিষয়ে কালিগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, “বিষয়টি আমি খোজ নিয়ে জানাবো। তবে ভুক্তভোগী পরিবার বর্তমানে চরম নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে বলে জানা গেছে।