শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ০৩:৩৪ পূর্বাহ্ন

কালিগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

কালিগঞ্জে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্র ছাত্রী নির্যাতনের অভিযোগ

ইশারাত আলী :
কালিগঞ্জে ৫ম শ্রেণীর ৭জন শিক্ষার্থীকে কান ধরে মাঠ প্রদক্ষিণ করানোর অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি গত সোমবার ৪ নভেম্বর সকাল ১১টার দিকে স্কুল ক্যাম্পাসে দৃশ্যমান হওয়ায় এলাকায় বেশ চাঞ্চল্যর সৃষ্টি হয়েছে। কালিগঞ্জ উপজেলার বিষ্ণুপুর ইউনিয়নের ৫৪ নং সরদারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপীনাথ পাল এর বিরুদ্ধে এ অভিযোগ উঠে। এই ঘটনার সাথে আরো দুইজন শিক্ষক জড়িত বলে অভিযোগ তুলেছে স্থানীরা।
বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে জানার জন্য আমাদের প্রতিনিধি ৫৪ নং সরদারপাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপীনাথ পাল এর সাথে কথা বলেন এবং তিনি ঘটনাটির সত্যতা স্বিকার করেন। প্রধান শিক্ষকের বক্তব্য, মনিম মনোয়ার, তামিম, আরাফাত সহ আরো ৪ জনকে বাড়ীর কাজ দেওয়া হয়েছিল। তারা তা করেনি। একারনে তাদের কান ধরিয়ে মাঠে প্রদক্ষিণ করানো হয়েছে।
প্রধান শিক্ষকের দেওয়া সাজা খাটার সময় ছাত্ররা যখন কান ধরে মাঠ প্রদক্ষিণ করে এসময় বিষয়টি স্থানীয় অভিভাবকরা দেখে ফেলে। তারা একটি ভিডিও ফুটেজ তৈরী করে এবং তা সাংবাদিকদের হাতে চলে যায়।
স্থানীয় অভিভাবক রনজিৎ ঘোষ বলেন, ঘটনাটি এর আগেও বার বার ঘটেছে এবং সে বিষয়ে শিক্ষকদের সাথে কখা বলা হয়েছে। তারা সাবধান হয়নি। যার কারনে আজ আবার এমন ঘটনা ঘটলো।
আব্দুর রব নামের আরেক অভিভাবক বলেন, এর আগে স্কুলের প্রধান শিক্ষক গোপীনাথ পাল মেয়েদের কান ধরে মাঠ প্রদক্ষিণ করিয়েছেন। যা খুব দৃষ্টি কটু। এর বিহিত হওয়া দরকার।
এর আগে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে ৫৪ নং সরদার পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গোপীনাথ পালের বিরুদ্ধে ৫ম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে শারিরিক ভাবে লাঞ্চিত করার অভিযোগ উঠে। তখন ঐ ছাত্রী সরাসরি গোপীনাথ পাল এর বিরুদ্ধে অভিযোগ তুললেও স্থানীয় একটি কুচক্রি মহলের কারনে বিষয়টি আইনের আওতায় আসেনি। সেকারনে স্থানীয় অভিভাবকদের দাবী, বিধি মোতাবেক তাকে বহিস্কার করা হোক, অন্যথা বদলি হলে তিনি পুনরায় এ ঘটনা আবার ঘটাবেন।
এব্যাপারে স্কুল ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি আবু ইছহাকের সাথে কথা বলা হলে তিনি বলেন, বিষয়টি আমি জেনেছি। আমরা মিটিং ডেকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
এ ব্যাপোরে কালিগঞ্জ উপজেলা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা অফিসার মেহেরুন নেছার কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, বিষয়টি দুঃখ জনক। আমি তদন্ত করে বিষয়টির নিষ্পত্তি করবো।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2013 www.satkhiranews24.com
Hosted By LOCAL IT