January 22, 2025, 5:15 am
আরজি কর-ধর্ষণ ও পরে খুন মামলা বিচারিক আদালতে প্রমান হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে ১৭ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। সোমবার শিয়ালদহ আদালতের বিচারক অনির্বাণ দাস এই নির্দেশ দিয়েছেন।
আরজি করে ধর্ষণ এবং খুনের মামলায় একমাত্র দোষী কলকাতা পুলিশের সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় দাসকে আমৃত্যু কারাবাসের শাস্তি দিয়েছেন আদালত। দোষীর শাস্তি ঘোষণার সময়ে বিচারক জানান, নির্যাতিতার পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়া রাষ্ট্রের দায়িত্ব। কর্তব্যরত অবস্থায় খুন হওয়ার জন্য ১০ লক্ষ টাকা এবং তাঁকে ধর্ষণের জন্য সাত লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে বলা হয়েছে।
সোমবার বিচারকের কাছে দোষীর সর্বোচ্চ শাস্তির আর্জি জানান নির্যাতিতার আইনজীবী। তবে দোষীর আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন বিচারক।
আদালত শাস্তি ঘোষণার সময়ে ক্ষতিপূরণের কথা শুনে নির্যাতিতার বাবা এজলাসে জানান, তিনি এই ক্ষতিপূরণ চান না। তখন বিচারক দাসও বলেন, “আমিও মনে করি না টাকা দিয়ে এর ক্ষতিপূরণ করা যাবে। আপনি মনে করবেন না টাকা দিয়ে ক্ষতিপূরণ করা হচ্ছে।
নির্যাতিতার বাবা জানান, তিনি মেয়ের ধর্ষণ এবং খুনের ঘটনার জন্য ন্যায়বিচার চাইছেন। আদালতের শাস্তি ঘোষণার পর এজলাসে দৃশ্যত কাঁদো কাঁদো দেখায় দন্ডপ্রাপ্ত সঞ্জয়কে। এসময় নির্যাতিতার বাবা-মা চুপচাপ বসে থাকেন এজলাসের একটি বেঞ্চে।
ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ৬৪, ৬৬ এবং ১০৩ (১)— এই তিনটি ধারায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়। ৬৪ ধারায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা, ১০৩(১) ধারায় যাবজ্জীবন এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ৬৬ ধারায় আজীবন কারাবাসের শাস্তি দিয়েছেন বিচারক দাস। সঞ্জয়কে বিচারক জানিয়েছেন, জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তাঁকে কারাবাসে থাকতে হবে।
Leave a Reply