শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ১১:৩৯ পূর্বাহ্ন

কালিগঞ্জের সন্নাসীর চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে গোলাম হোসেনের পদে চাকুরী করছে আল আমিন

কালিগঞ্জের সন্নাসীর চক প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী পদে গোলাম হোসেনের পদে চাকুরী করছে আল আমিন

 

কালিগঞ্জ প্রতিনিধিঃ

কালিগঞ্জ উপজেলার সন্নাসীর চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী নিয়োগে প্রাথমিক ও গনশিক্ষা মন্ত্রনালয় কতৃক চুড়ান্ত নিয়োগ তালিকায় মোঃ গোলাম হোসেনের নাম উল্লেখ থাকলেও প্রতারণা মুলক ভাবে অবৈধ পন্থায় ২০১৪ সাল হতে চাকুরী করে চলেছে ধুরন্ধর আল আমিন। সে উপজেলার নলতা ইউনিয়নের সন্নাসীর চক গ্রামের আলহাজ্ব মোক্তার আলীর পুত্র। সম্পুর্ণ অনিয়মতান্ত্রিক ভাবে অতি চালাক ও ধুরন্ধর আল আমিন স্কুলের তৎকালিন এমসি কমিটির সভাপতি ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের কতিপয় কর্তা ব্যাক্তিদের ম্যানেজ করে নিয়োগ পরীক্ষায় ৪র্থ স্থান প্রাপ্ত আলামিন কে সর্বোচ্চ নম্বর প্রাপ্ত গোলাম রহমানের স্থলে আনা হয়। অপরদিকে হতদরিদ্র পরিবারের মেধাবী ও যোগ্য প্রার্থী গোলাম রহমানকে বঞ্চিত করা হয়। এলাকার প্রভাবশালী ও ধর্ণার্ঢ্য পরিবারের সন্তান আল আমিন প্রভাব খাটিয়ে মামলা ও হামলার ভয় দেখিয়ে গোলাম রহমানকে গ্রাম ছাড়া করা হয়। আল আমিন অবৈধ ভাবে ২০১৪ সালে নিয়োগ পেয়ে সরকারি যাবতিয় সুযোগ সুবিধা গ্রহন করলেও দ্বায়িত্বে ও কর্তব্যে চরম অবহেলার অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া তার বিরুদ্ধে স্কুলের শিক্ষকদের লাঞ্চিত করা, শিক্ষার্থীদের দিয়ে কাজ করিয়ে নেওয়া ও দীর্ঘদিন স্কুলে না এসেও প্রভাব খাটিয়ে ১০/১২ দিনের স্বাক্ষর ১দিনে করার ও চাঞ্চল্যকর তথ্য আছে। স্কুলের প্রধান শিক্ষক শিবানী স্বর্ণকার গত ১৫/০১/২০১৪ তারিখে উপজেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর আল আমিনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের প্রেক্ষিতে সরেজমিনে তদন্ত করেন গঠিত তদন্ত কমিটি। তদন্তে আল আমিনের বিরুদ্ধে দায়ের করা অভিযোগের সত্যতা পেলেও কর্তৃপক্ষ কোন ব্যাবস্থা নেননি। জানাগেছে, মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে তদন্ত প্রতিবেদন ধামাচাঁপা দেওয়া হয়। বিদ্যালয়ের এস এমসি কমিটির সভাপতি ০৭/০৫/২০১৯ তারিখে পুনঃরায় উপজেরা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার বরাবর আল আমিনের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। যার তদন্ত অনুষ্ঠিত হবে ১ লা জুলাই ২০১৯। এস এম সির সহ সভাপতি আবু তালেব এ প্রতিনিধিকে জানান, আল আমিন অযোগ্য ও ফাঁকিবাজ। তাকে দিয়ে কোনোমতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে চাকুরী করানো ঠিক না। সে নৈশ প্রহরী হলেও কোনদিন রাত্রে স্কুলে ঘুরতেও যায়না। বিদ্যালয়ের দপ্তরী হলেও শিক্ষকদের কোন আদেশ নির্দেশ মেনে বা শুনে চলে না। অপরদিকে নিয়োগ পরীক্ষায় সর্বোচ্চ নম্বরধারী প্রকৃত যোগ্য প্রার্থী গোলাম হোসেন চাকুরী ফেরত পেতে সাতক্ষীরা আদালতে একটি মামলা দায়ের করে, মামলার নম্বর দেওয়ানী ৬৪। এদিকে গত ১৪/০৬/২০১৯ তারিখে কালিগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসে অভিযোগের প্রক্ষিতে সন্নাসীর চক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরী কাম নৈশ প্রহরী আল আমিনের নিয়োগ সংক্রান্ত কোন নথির সন্ধান মেলেনি বলে জানাগেছে। সবমিলে স্কুলের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি, সহ সভাপতিসহ কমিটির লোকজন, অভিভাবক, সুধীজন ও ভুক্তভোগীরা ধুরন্ধর আল আমিনের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী জানান।

Please Share This Post in Your Social Media

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2013 www.satkhiranews24.com
Hosted By LOCAL IT